,

অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঘুম না হলে

সময় ডেস্ক : গর্ভাবস্থায় অনিদ্রা (প্রেগন্যান্সি ইনসমনিয়া) অনেক নারীরই হয়ে থাকে। কিন্তু এ সময় তাঁদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই গর্ভাবস্থায় ঘুম ঠিকমতো না হলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কারণ- গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাসে শিশুর নড়াচড়া বেশি হয়। এর ফলে অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে নারীদের ওপর মানসিক চাপ ও উদ্বেগ অনেকটাই বেড়ে যায়। এর ফলেও রাতে গাঢ় ঘুম হয় না। শেষের দিকে প্রসব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে। এর ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। গর্ভাবস্থায় পায়ে টান ধরা খুবই সাধারণ সমস্যা। মূলত দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। রাতে পায়ে টান ধরলে বারবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় বারবার প্রস্রাব করতে টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। এর ফলেও ঘুমে সমস্যা হয়। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় কোনো কোনো সময় উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোনো কারণে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।
গর্ভবতী মা রাতের পর রাত জেগে কাটালে তাঁর সঙ্গে গর্ভের সন্তানেরও ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অনিদ্রা একদমই অবহেলা করার বিষয় নয়। ঘুম না এলে যা যা করতে পারেন- রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খেয়ে নিন। তবে গভীর রাত পর্যন্ত খাওয়া একদমই চলবে না। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। দিনের বেলা মাঝেমধ্যে ফল ও হালকা বিস্কুট খান। তাহলে রাতে অ্যাসিডিটিজনিত কষ্ট কম হবে ও ঘুমের ব্যাঘাত হবে না। প্রতিদিন প্রায় একই সময় শুতে যাওয়া ও একই সময় ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। সময় (স্লিপ শিডিউল) উল্টাপাল্টা হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যাঁদের রাতে ভালো ঘুম হয় না, তাঁরা চেষ্টা করুন দিনের বেলায় না ঘুমানোর। দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম আসতে চাইবে না। সন্ধ্যার পর থেকে পানি খাওয়া কমিয়ে দিন। ফলে রাতে ঘুমের মধ্যে বারবার টয়লেট যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। সন্ধ্যার পর চা-কফিও খাবেন না। গর্ভাবস্থায় চেষ্টা করুন মন ভালো রাখতে। যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। এর ফলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হবে না। মেডিটেশন, ইয়োগা, বই পড়া, হালকা গান শোনা নিদ্রাহীনতা কাটাতে সাহায্য করতে পারে। পায়ে ক্র্যাম্পস বা টান ধরার সমস্যা ঠেকাতে ঘুমের সময় হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। তবে নিদ্রাহীনতা খুব চরম আকার ধারণ করলে অথবা এর সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ বা শ্বাসকষ্টজনিত কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় কিছুতেই নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর